ইরানে কালিমায়ে তায়্যিবার বিকৃতি
এ কথা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের সর্ববৃহত মাধ্যম ইসলামের কালিমা لا اله الا الله محمد رسول الله এটা প্রত্যেক মুসলমান জানে ও মানে ৷ এতে কমানো বাড়ানো সুস্পষ্ট কুফরী ৷ কিন্তু এই পবিত্র কালিমার উপর শীয়ারা যে জুলুম করেছে তা পূর্বের আলোচনায় আপনারা লক্ষ করেছেন ৷ এবার দেখুন ইরানী শীয়া সরকার কী জুলুম করেছে ৷ তারা কালিমায়ে তায়্যিবার দুই অংশের সাথে তৃতীয় অংশ “علي ولي الله” যোগ করেই ক্ষান্ত হয়নি ৷ বরং চতুর্থ আরেকটি অংশ যোগ করেছে “خميني حجة الله” অর্থাত খোমেনী আল্লাহর হুজ্জত বা দলীল ৷
২২ নভেম্বর ১৯৭৮ সালে তেহরানে খোমেনী বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তার অনুসারীরা একটি ব্যাজ ধারণ করে ৷ তাতে লেখা ছিলো— لا اله الا الله الإمام الخميني
শীয়া আলেম তালেব হোসাইন করপালভী তার লেখা বই “ওয়াসীলায়ে আম্বিয়া” ১৭৯ পৃষ্ঠায় লেখেন:
“أقررتم
বাক্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, নবীগণ আল্লাহর একত্ববাদ, হুজুর সাঃ এর নুবুয়্যাত এবং হযরত আলী রাঃ এর বেলায়ত স্বীকার করেছেন ৷ সুতরাং মানতেই হবে যে, যদি নবীগণ এ তিনটি স্বীকার না করতেন তাহলে তাঁরা নবী থাকতেন না ৷ তাহলে এ তিন কথার স্বীকারোক্তি না দিলে যখন নবুয়্যত থাকে না, আমাদের ঈমান কীভাবে থাকতে পারে ? অতএব, তার ঈমানই পূর্ণাংগ হতে পারে যে কালিমার এই তিন অংশ স্বীকার করে নেবে ৷
রুহ জগতে ওয়াদার দিন নবীগণের রুহ সমূহ আল্লাহর একত্ববাদ, হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাঃ এর নুবুয়্যাত ও হযরত আলী রাঃ এর বেলায়তের স্বীকারোক্তি দিয়েছিলো ৷ সুতরাং মানতে হবে যে, আল্লাহর সঙ্গে সে সময় হুজুর সাঃ এবং হযরত আলী আলাইহিমাস সালাম উপস্থিত ছিলেন ৷ এসব বর্ণনাবলী থেকে পরিষ্কার হয় যে, সমস্ত নবীগণ হযরত আলী রাঃ এর বেলায়ত স্বীকার করে নিয়েছিলেন ৷”
প্রিয় পাঠক, শীয়া লেখক করপালভীর বিবরণে কালিমায়ে ইসলামের অবমাননার সাথেসাথে সমস্ত নবীগণেরও অবমাননা হয় ৷ কারণ তার বক্তব্যে বোঝা যায়, আলী রাঃ এর বেলায়তের স্বীকারোক্তি না দিলে নাউযুবিল্লাহ তাঁরা নবী রাসূল হতে পারতেন না ৷
প্রিয় পাঠক, জুলুমের উপর জুলুমের ব্যাপার হলো, শীয়া সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও আকীদায় বেলায়তের স্তর নুবুয়্যাতের উপরে ৷ বিস্তারিত সামনে আসবে ইনশাআল্লাহ ৷
Lisanul Haque
Leave Your Comments