মুসলমানদের আবিস্কার – ফার্মেসী

ঢাকার অলিতে গলিতে যে সাইনবোর্ডটি সহজেই আমাদের নজর কাড়ে তাহলে ফার্মেসী।
পৃথিবীর প্রথম ফার্মেসিটি বাগদাদে ৭৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। খলিফা আব্বাসের আমলে।
নয়শত শতাব্দীতে ফার্মেসীগুলোর পরিচালনা শুরু হয় রাষ্টীয় আইনে। রাষ্ট্র নিয়োজিত কর্মচারী (আল মুহতাসিব) আর তার সহযোগীরা ঔষধের গুনাগুন এবং ওজন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেন।
মন্দ ঔষধ পাওয়া গেলে শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। অতএব ফার্মেসীগুলো হেলথ এন্ড সেফটি একজেকিটিভের কঠোর নজরদারতে পরিচালিত হত।
বোটানি এবং রসায়নে মধ্যযুগের ইসলাম যে প্রভূত উন্নতি ঘটেছিল তার প্রভাব পরে ফার্মাকোলোজিতেও। Muhammad ibn Zakarīya Rāzi (Rhazes ) (865-915) ঔষধে কেমিকাল কম্পাউন্ডের প্রয়োগ ঘটান।
Abu al-Qasim al-Zahrawi (Abulcasis) (936-1013) sublimation এবং distillation এর মাধ্যমে জটীল সব ঔষধ প্রস্তুতের ফর্মুলা উদ্ভাবন করেন।
Sabur Ibn Sahl (d 869) প্রথম pharmacopoedia শুরু করেন। Al-Biruni (973-1050) তার Kitab al-Saydalah (The Book of Drugs) বইটিতে ঔষধের উপাদানের বিশদ বর্ননা দেন।
Ibn Sina (Avicenna) , ৭০০টি ঔষধের উপাদান এবং তাদের কার্যকারিতা বর্ননা করেন কানুন অব মেডিশিন এ। . বাগদাদের এবং কায়রোর al-Maridini এবং Ibn al-Wafid (1008–1074) লাতিন ভাষায় ৫০ বার মুদ্রিত হয়। `Mesue’ এবং De Medicinis universalibus et particularibus এবং Abano (1250–1316) এর Medicamentis simplicibus `Abenguefit’ নামে অনুবাদিত হয়।
অথচ ইউরোপে ফার্মেসির আবির্ভাব ঘটে ১২শত শতাব্দীতে। ইউরোপের প্রথম ফার্মেসিটি চালু হয় 1241সালে। জার্মানির Trier এ যাকিনা এখনও বিদ্যমান। ১৩শত শতাব্দীতে ইউরোপে ধীরে ধীরে মুসলিম বিশ্বের এই উদ্ভাবন এবং গবেষনা কর্মগুলোর পরিচিতি লাভ ঘটতে থাকে।
যাকিনা অবদান রেখেছিল রেনেসাতেও।
আধনিক কালে আমেরিকাতে মুসলিম ফার্মেসী পুনর্জীবন লাভ করে আমেরিকা ইতিহাসবিদ মারটিন লেভের মাধ্যমে। তিনি আরবী ভাষার অনুবাদ করতে গিয়ে কম্পাউন্ড ড্রাগ, পিল, পাউডার, সিরাপ, তৈল, লোশন আর টুথপেষ্টের ব্যাপারে তথ্য আহরন করেন, যাকিনা ছিল ১০০০ বছরের পুরোনো এবং তাক লাগানোর মত।

( সামু ব্লগার মাহিরাহি এর সৌজন্যে )

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *