কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা এবং আমাদের করণীয়।

কাদিয়ানী সম্পর্কে সম্প্রতি জোরদার লেখালেখি হচ্ছে। ঘুমে আচ্ছন্ন অনেক সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ধীরেধীরে ঘুম ভাঙছে। যারা কিনা অন্যান্য মুসলিম ফেরকার মতো কাদিয়ানীদের এতোদিন মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত মনে করতো। অথচ আদৌ কাদিয়ানীরা মুসলিম নয়; বরং তাদের লেবাস-পোশাক, কৃষ্টি-কালচার কিছুতেই ইসলামের লেশমাত্র নেই। চিরসত্য কথা হলো, তারা কাফের। তারা ইসলামের শত্রু। এবং যারা তাদের কাফের হিসেবে মানতে নারাজ তারাও নিঃসন্দেহে কাফের। কোনো প্রকৃত মুসলিম তাদের পক্ষ নিতে পারেনা।
কাদিয়ানীরা ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ নাম ব্যবহার করে মূলত ইসলামকে পচাতে চায়। তারা ইসলামকে নিজেদের মতো ব্যবহার করে ইসলাম বিদ্বেষীদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মনগড়া কর্মকাণ্ডের ফলে আজ ইসলাম ভিন ধর্মীদের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। তারা নিজেদের মুসলিম দাবী করলেও তলেতলে তাদের সাথে ইসলামের চিরশত্রু ইহুদী, খৃষ্টান এবং তাদের সগোত্রীয়দের সাথে যোগসাজশ সম্পর্ক বিদ্যমান। কাদিয়ানীরা অভিশপ্ত ইংরেজদের নষ্ট চিন্তাধারার ফসল। ইংরেজরাই তাদের তৈরি করেছে।
কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে এযাবৎ কম আন্দোলন-সংগ্রাম হয়নি। অথচ এখনো তারা এদেশে নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে বুক টান করে হেটে বেড়ায়। বলা যায় তারা রাষ্ট্রীয়ভাবেও বহির্বিশ্বে মুসলিম বলে পরিচিত। এটা আমাদের জন্য লজ্জা। পাকিস্তানে কাদিয়ানীদের এক সময় শক্ত অবস্থান থাকলেও উলামায়ে আহলে হক্বের ক্ষুরধার লিখনি আর জোরদার আন্দোলনের ফলে সেদেশের সরকার কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। সেক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ।
তারা নিজেদের কৃষ্টি কালচারে স্বঘোষিত অমুসলিম হয়েও এদেশে এখনো মুসলিম নাম ব্যবহার করে টিকে আছে কী করে? কারণ তাদের পিছনে ইসলাম বিদ্বেষী অদৃশ্য অপশক্তি সর্বদা মদদ যোগাচ্ছে। ইহুদী, খৃষ্টানরা অর্থ, পরামর্শ এবং নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ করে এখনো তাদের বহালতবিয়তে রাখতে সক্ষম হয়েছে; বরং তাদের কর্মতৎপরতায় প্রাণ সঞ্চালন করছে প্রতিনিয়ত। গত কদিন আগে কাদিয়ানীদের কিছু কর্মতৎপরতা দেখে বিস্মিত হয়েছি। দেখেছি তাদের সাথে খৃষ্টানদের মাখামাখিপূর্ণ সম্পর্কের দৃশ্য।
কাদিয়ানী তৎপরতা বন্ধ করা কীভাবে সম্ভব? উত্তর সহজ। খুঁজেখুঁজে কাদিয়ানীদের সমস্ত পণ্য সম্মিলিতভাবে আমাদের বয়কট করতে হবে। খুঁজ নিয়ে দেখুন কাদিয়ানীদের তৈরি পণ্য এদেশের বাজার দখল করেছে আশ্চর্যজনকভাবে। এবং আমরাই তাদের তৈরি সেই পণ্য ক্রয় করে অর্থনৈতিকভাবে তাদের সাপোর্ট দিচ্ছি। আমরা সচেতন হলে তারা ভণ্ডামি বন্ধ করতে বাধ্য হবে। দ্বিতীয়ত রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণার ক্ষেত্রে জোরদার আন্দোলনের বিকল্প নেই।

কাদিয়ানী ইস্যুতে মুসলিম দাবিদার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।

Maolana Ali Azam

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *