উত্তর:- জানাযার নামাজ মূলত দোয়া। নামাজের সাথে নাম ও বাহ্যিক কিছু দিক দিয়ে মিল আছে মাত্র। তাই এতে সুরা-কেরাত এবং তাশাহ্হুদ পড়ার বিধান নেই।
সুতরাং জানাযার নামাজে ক্বেরাতের নিয়তে সুরায়ে ফাতেহা পড়া জায়েয নাই। তবে কেউ যদি ছানা এবং দোয়ার নিয়তে সুরা ফাতেহা পড়ে তাহলে পড়তে পারবে।
হাদীসে এসেছে-
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : ( إذا صليتم على الميت فأخلصوا له الدعاء
যখন তোমরা মাইয়্যেতের জন্য জানাযার নামায পড়, তখন ইখলাসের সাথে দুআ কর। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩০৭৬, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩২০১, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৭৯৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৬৭৫৫}
সূরা ফাতিহা না থাকার আরেকটি বড় কারণ হল, জানাযার নামাযে কেরাত নেই। আল মুদাওয়ানাতুল কুবরা গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে যে,
قلت لعبد الرحمن بن القاسم: أي شيء يقال على الميت في قول مالك؟ قال: الدعاء للميت. قلت: فهل يقرأ على الجنازة في قول مالك؟ قال: لا(المدونة الكبرى، كتاب الجنائز، باب ما جاء فى القرائة على الجنائز-1/158
অনুবাদঃ আমি আব্দুর রহমান বিন কাসেম রহঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ইমাম মালিক রহঃ এর মাযহাবে মৃতের জন্য কী পড়া হয়? তিনি বললেনঃ মৃতের জন্য দুআ পড়া হয়। আমি বললামঃ ইমাম মালিক রহঃ এর মতে কি জানাযার নামাযে কিরাত আছে? তিনি বললেনঃ না। আল মুদাওয়ানুতল কুবরা-১/১৫৮}
-সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩০৭৬, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩২০১, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৭৯৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৬৭৫৫,আল মুদাওয়ানুতল কুবরা-১/১৫৮,বাদায়েয়ুস সানায়ে ২/৩৪৫,আল মুহিতুল বোরহানী ৩/৭৭,আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু ২/৪২৯,কিফায়াতুল মুফতি ৫/২৫০.
উত্তর লিখনে- মুফতী মুহাম্মাদ শামছুদ্দোহা, প্রিন্সিপাল ও প্রধান মুফতী- রওজাতুল উলুম মাদরাসা মিরপুর,ঢাকা খতীব-সাইন্সল্যাবরেটরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ধানমন্ডি ঢাকা।
Leave Your Comments