প্রশ্ন: (ক) মুহাররম মাস সম্মানিত এবং এই মাসে যেহেতু হযরত হুসাইন রা. শহীদ হয়েছেন তাই এই মাসে বিবাহ-শাদি করাকে কুলক্ষুণে মনে করা হয়। এ কথা কি ঠিক? (খ) ১০ মুহাররম এক শ্রেণীর লোক হযরত হুসাইন রা.-এর শাহাদাতের শোক পালনার্থে তাজিয়া মিছিল বের করে। ধারণা করা হয়, এই টং-এ হযরত হুসাইন রা.-এর রূহ সমাসীন থাকেন। তার কবরের আকৃতি থাকে। শোক মিছিলের সামনে তাজিয়া টং থাকে। এর পাদদেশে নযর-নিয়ায পেশ করা হয় এবং এর সামনে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকে ইত্যাদি। এসব কর্মকাণ্ড শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন?

উত্তর:

(ক) না, একথা ঠিক নয়। এই বিশ্বাস রাখা এক ধরনের শিরক। হাদীস শরীফে এসেছে, কুলক্ষুণে বিশ্বাসের কোনো বাস্তবতা নেই। অপর এক হাদীসে আছে, কুলক্ষুণে শিরক।-সুনানে আবু দাউদ, হা. ৩৯০৪;মুসনাদে আহমাদ ১/৩৮৯

সুতরাং মুহাররম মাসে বিয়েশাদি করতে কোনো অসুবিধা নেই। উপরন্তু বহু হাদীসের ভাষ্যমতে এই মাস বরকতপূর্ণ ও মহিমান্বিত।

সহীহ মুসলিম ১/৩৬৮; জামে তিরমিযী ১/১২৫৭

(খ) ‘তাজিয়া’ সম্পূর্ণ শিরকী কাজ। হযরত হুসাইন রা.-এর রূহকে হাযির মনে করা, সেখানে নযর-নিয়ায পেশ করা, হাত জোড় করে দাঁড়ানো প্রত্যেকটি কাজই শিরক। এছাড়া এই দিনে শোক মিছিল বের করা,হাইহুতাশ করা, বুক চাপড়ানো ইত্যাদিও সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন, যা বিদআত।

ইমদাদুল ফাতাওয়া ৫/৩৩২, ৩৩৬; আহসানুল ফাতাওয়া ১/৩৯৩

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *