তুরস্কের পেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সম্পর্কে কিছু কথা- শেখ ফজলুল করীম মারুফ

রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সম্পর্কে নতুন করে কারো কিছু বলার নাই। উনার কৌশল, নেতৃত্ব, সফলতা এবং মুসলিম উম্মাহের প্রতি তার দরদমাখা দায়িত্বপুর্ন আচরন সত্যিই মুগ্ধকর।

তিনি মুসলিম উস্মাহর বর্তমান সময়কার আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

তার কৌশল বিশ্বের ইসলামী সংগঠনগুলোর জন্য অনুসরনিয় তাতেও বেশী তর্ক নাই।

তবে একটা কথা,
তিনি যে কৌশলে কাজ করছেন সেটা বর্তমান সময়ের জন্য হয়তো শ্রেষ্ঠ কৌশল। কিন্তু তার প্রতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থা কোনভাবেই “খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ” বা ইসলামী শাসনের আদর্শরুপ না।

তুরস্ক, একেপি, এরদোয়ান সম্পর্কে যারা জানেন, এবং তাদের ভাষ্য সম্পর্কে যারা জানেন তাদের কাছে কথাটা হাস্যকর মনে হতে পারে। কারন একেপি বা এরদোয়ান কেউই কখনো তা দাবী করে নাই। এমন কি একেপি নিজেদের পরিচয় দেয় “রক্ষণশীল গনতান্ত্রিক দল” হিসেবে।

তারপরেও কথাটা এই কারনে বলতে হলো যে, এরদোয়ান সম্পর্কিত দুইটা প্রান্তিক মত রয়েছে এদেশের ইসলামপন্থীদের মাঝে। একদল তাঁকে “নাসারা ও শিয়াদের দালাল” মনে করে। এদের সম্পর্কে কিছু বলার নাই। এতো বোকা লোকের সাথে তর্ক হয় না!!

আরেকদল এরদোয়ান (হাফিজাহুল্লাহ)কে প্রায় খলিফা বানিয়ে ফেলেছেন। তাদের সম্পর্কেই কথাটা বলা।

আরেকটা বিষয়।

দাড়ি রাখা ইসলামের “শেয়ার” বা নিদর্শন। রাসুল সঃ মুশরিকদের থেকে মুসলিমদের আলাদা করতে দাড়ি লম্বা করতে বলেছেন। এটা ইসলামের ওয়াজিব বিধান। এই ওয়াজিব বিধান কারো ক্ষেত্রেই অপ্রযোজ্য নয়।

এরদোয়ান (হাফিজাহুল্লাহ) দাড়ি রাখেন না বলে তার সকল কাজই যেমন বাতিল না তেমনি তার বহুকাজ উম্মাহর শান-শওকত, মর্যাদা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও তার দাড়ি না রাখার বিষয়টা হালাল হয়ে যাবে না। এবং তাঁকে দিয়ে দাড়ি না রাখার বৈধতা খোজা যাবে না।

দাড়ি একটা ওয়াজিব বিধান হলেও এর প্রতিকি মর্যাদা অনেক। “শেয়ারে ইসলাম” বা ইসলামের কোন প্রতিককে কেউ অবমাননা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতার বিধান রয়েছে। দাড়িও “শেয়ারে ইসলামের অন্তর্গত। ইসলামী রাজনীতির যারা প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের জন্য দাড়ি এবং ইসলামের নিজস্বতা ফুটিয়ে তোলে এমন পোষাক পরিধান করা আরো বেশী গুরুত্বপুর্ন।

আশা করি বিষয়টা বুঝবেন।

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *