ছবি ও মূর্তি সম্পর্কে হুমায়ুন আহমেদের একটি লেখা, সেকুলারদের অপপ্রচার, কিছু বিভ্রান্তি এবং এর নিরসন

হুমায়ুন আহমেদের একটা লেখাকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বেশ বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। লেখাটি ছবি ও মূর্তি বিষয়ক। বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটি ঐ লেখাটা নিজ ওয়ালে পোস্ট করার পর সেটা এখন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে [এ রকম একটা লেখার লিঙ্কঃ https://goo.gl/I4XNAU ] ।সেকুলার ফেসবুক সেলিব্রেটিদের প্রচারের ফলে অনেকেই এই ব্যাপারটা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন এই কারণে লেখাটা লিখছি।
.
সেই লেখায় দাবি করা হয়েছেঃ
১।রাসুল(ﷺ) নাকি মক্কা বিজয়ের সময়ে কাবার ভেতর মরিয়ম(আ) এর ছবি রেখে দিয়েছিলেন।
২।আয়িশা(রা) যেহেতু পুতুল নিয়ে খেলতেন কাজেই মূর্তি রাখা নাজায়েজ কিছু না
৩।জেরুজালেম বিজয়ের পর প্রাণীর ছবিসহ একটি ধুপদানি উমার(রা) এর হাতে আসে আর তিনি সেটি মসজিদে নববীতে ব্যবহারের জন্য আদেশ দেন।
৪। বাংলাদেশে প্রচলিত মিলাদে যার কবিতা পাঠ করা হয় সেই শেখ সাদীর মাজারের সামনেই তার একটি মর্মর পাথরের ভাস্কর্য আছে। সেখানকার মাদ্রাসার ছাত্ররা তা ভাঙেনি।
.
এসব তথ্য উল্লেখ করে ছবি,মূর্তি, ভাস্কর্য ইত্যাদিকে জায়েজ বলবার চেষ্টা করা হয়েছে।
.
প্রথমেই বলিঃ হুমায়ুন আহমেদ কোন আলিম ছিলেন না।কাজেই তার নামে প্রচার হওয়া একটা লেখাকে কেন্দ্র করে হালাল-হারামের মত কোন ডিসিশনে চলে যাওয়া বুদ্ধিমানে কাজ নয়।তার লেখাগুলোতে যে রেওয়ায়েতগুলো আছে সেগুলো কতটুকু সহীহ সেটাও দেখার বিষয়।
.
সেই লেখাটায় ইবন ইসহাকের একটা রেওয়ায়েতের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে রাসুল(ﷺ) নাকি মক্কা বিজয়ের সময়ে কাবার ভেতর মরিয়ম(আ) এর ছবি রেখে দিয়েছিলেন।অথচ নির্ভরযোগ্য সনদে জানা যায় নবী(ﷺ) বরাবরই ছবি,মূর্তি ইত্যাদির চরম বিরোধী ছিলেন।
.
“আয়িশা(রা) বলেন, নবী(ﷺ) এর অসুস্থতার সময় তাঁর জনৈকা স্ত্রী একটি গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। গির্জাটির নাম ছিল মারিয়া। উম্মে সালামা ও উম্মে হাবীবা ইতোপূর্বে হাবাশায় গিয়েছিলেন। তারা গির্জাটির কারুকাজ ও তাতে বিদ্যমান প্রতিকৃতিসমূহের কথা আলোচনা করলেন। নবী(ﷺ) শয্যা থেকে মাথা তুলে বললেন, ওই জাতির কোনো পুণ্যবান লোক যখন মারা যেত তখন তারা তার কবরের উপর ইবাদতখানা নির্মাণ করত এবং তাতে প্রতিকৃতি স্থাপন করত। এরা হচ্ছে আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।’
[সহীহ বুখারী হা. ১৩৪১ সহীহ মুসলিম হা. ৫২৮ নাসায়ী হা. ৭০৪]
.
“আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস(রা) বলেন, ‘(মক্কা বিজয়ের সময়) নবী(ﷺ) যখন বায়তুল্লাহতে বিভিন্ন প্রতিকৃতি দেখলেন তখন তা মুছে ফেলার আদেশ দিলেন। প্রতিকৃতিগুলো মুছে ফেলার আগ পর্যন্ত তিনি তাতে প্রবেশ করেননি।’
[সহীহ বুখারী হা. ৩৩৫২]
.
এই ছিল যাঁর আদর্শ, তিনি কী করে মরিয়ম(আ) এর ছবি আল্লাহর ঘর কাবার ভেতর থাকতে দিতে পারেন?
ইবন ইসহাকের যে রেওয়ায়েতের কথা বলা হচ্ছে তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা এই সহীহ রেওয়ায়েতগুলোতে দেখা যাচ্ছে। সহীহ এর বিপরীতে ঐ ঘটনাটি প্রমাণ করে যে সেটি কোন সত্য ঘটনা নয়।
.
ইবন ইসহাকের কথিত রেওয়ায়েতের ব্যাপারে যা বলবঃ ইবন ইসহাকে যদি থেকেও থাকে, সেটা এই ঘটনার সত্যতার প্রমাণ না।ইবন ইসহাকের সিরাত গ্রন্থের ব্যাপারে আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ইবন ইসহাকে প্রচুর জাল রেওয়ায়েত আছে। Satanic verse এর কুখ্যাত বানোয়াট ঘটনার রেওয়ায়েতও কিন্তু ইবন ইসহাকের সিরাত গ্রন্থে পাওয়া যায়।
ইবন ইসহাক(র) এর গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ইবন হিশাম(র) এর সিরাত গ্রন্থ। ইবন ইসহাক থেকে এটি তৈরি করা হয়েছে। এটি ইবন ইসহাকের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নির্ভরযোগ্য। অনির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েত অপেক্ষাকৃত কম।
ইবন হিশামের গ্রন্থে[সীরাতুন্নবী(স)–ইবন হিশাম, ৪র্থ খণ্ড {ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ}, পৃষ্ঠা ৬৯।] ঐ ঘটনার জায়গায় নবী(ﷺ) কর্তৃক কাবার ছবিসমূহ মুছে ফেলবার নির্দেশ দেবার কথা আছে। কোন ছবি রাখবার বিবরণ সেখানে নেই। [ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://goo.gl/F3BiUy ] বাংলাভাষী পাঠকরা সহজেই চেক করে দেখতে পারেন। এটাও প্রমাণ করে যে মরিয়ম(আ) এর ছবি রেখে দেবার ঘটনাটা সত্য নয়।আর আর যারা মূল আরবি ইবারত চেক করতে পারবেন তাদের কাছে আরো কিছু জালিয়াতী ধরা পড়ে যাবে।
আর তা হচ্ছেঃ ইবন ইসহাক কিংবা ইবন হিশাম–কোন গ্রন্থেরই মূল আরবি ইবারতে ঐ ঘটনার অস্তিত্ব নেই।ইংরেজি ভাষার অনুবাদক আলফ্রেড গিয়োম অন্য জায়গা থেকে বর্ণনাটি সংগ্রহ করে সেখানে জুড়ে দিয়েছেন। আর তার বিভ্রান্তিকর অনুবাদ পড়ে অনেকেই ভুল জিনিস জেনেছেন।তাছাড়া হুমায়ুন আহমেদের ঐ লেখাতে বেশ কিছু (বিভ্রান্তিকর)তথ্য যোগ করা হয়েছে যা এমনকি গিয়োমের ইংরেজি অনুবাদেও নেই। [বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ https://goo.gl/Bu5tCx ] অর্থাৎ এখানে অনুবাদক আলফ্রেড গিয়োম কিংবা নিবন্ধকার হুমায়ুন আহমেদ কেউই বিশ্বস্ততার পরিচয় দেননি।
.
আর তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে হুমায়ুন আহমেদের নিবন্ধে উল্লেখিত ঘটনাটি সত্য, তাহলেও একটা কথা থাকে। সেই ঘটনাতেও তো মরিয়ম(আ)এর বাদে অন্য সকল ছবি-মূর্তি ভেঙে ফেলার কথা আছে! কাজেই ঐ ঘটনা থেকেও তো মূর্তি ভেঙে ফেলাই প্রমাণ হয়, সুবহানাল্লাহ। 😀 ইসলামে মরিয়ম(আ) এর একটা আলাদা মর্যাদার স্থান আছে। তিনি কোন প্যাগান দেবী নন। কিন্তু পৌত্তলিকদের(pagans) দেব-দেবীদের(যেমন গ্রীক দেবী থেমিস) ক্ষেত্রে তো সে রকম কোন ব্যাপার নেই।কাজেই ঐ অনির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েত থেকেও থেমিস বা অন্য প্যাগান মূর্তি ভেঙে ফেলার কথাই সাবেত হয়।
.
আয়িশা(রা) এর পুতুল খেলার ব্যাপারটি নিয়েও আলোচ্য লেখায় একটি বিভ্রান্তি আছে। আয়িশা(রা) কাপড়ে তৈরি যে পুতুল নিয়ে খেলতেন, সেগুলোর আজকের দিনকার পুতুলের মত কোন মাথা ছিল না। সেগুলোতে কোন নাক-মুখ-চোখ এগুলো বোঝা যেত না।সেই পুতুল মোটেও আজকের দিনের বার্বি ডলের মত কিছু ছিল না! এ রকম পুতুল দিয়ে খেলা জায়েজ। বিস্তারিত এই ফতোয়াতে দেখা যেতে পারেঃ https://islamqa.info/en/9473
আর খোদ আয়িশা(রা) থেকেই এমন হাদিসের বিবরণ পাওয়া যায় যাতে ভাস্কর-চিত্রকরদের পরকালিন শাস্তির কথা আছে।
.
আয়িশা(রা) ও আব্দুল্লাহ ইবন উমার(রা) থেকে বর্ণিত, নবী(ﷺ) বলেছেন-
” এই প্রতিকৃতি নির্মাতাদের (ভাস্কর, চিত্রকরদের) কিয়ামত-দিবসে আযাবে নিক্ষেপ করা হবে এবং তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, যা তোমরা ‘সৃষ্টি’ করেছিলে তাতে প্রাণসঞ্চার কর!’
[সহীহ বুখারী হা. ৭৫৫৭, ৭৫৫৮]
.
উমার(রা) সম্পর্কে যে ঘটনাটা বলা হয়েছে সেটা কুরআন ও সহীহ হাদিসের নির্দেশের বিপরীত।
এ কী করে সম্ভব যে উমার(রা) কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত কথার বিরোধিতা করে ছবিযুক্ত জিনিস রাখবেন?
.
কুরআন মাজীদে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে পথভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে-
.
“হে প্রভু(আল্লাহ), এরা (মূর্তি) অসংখ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে!’’
[সূরা ইবরাহীম : ৩৬]
অন্য আয়াতে এসেছে-
‘’আর তারা বলেছিল, তোমরা পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদের এবং পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ সুওয়াকে, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে। অথচ এগুলো অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে।’’
[সূরা নূহ : ২৩-২৪]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় একটি দীর্ঘ ও প্রাসঙ্গিক হাদিস এসেছে যাতে উল্লেখ আছে যে মৃত ব্যক্তির স্মরণে তৈরিকৃত ভাস্কর্য থেকে পৃথিবীতে কী করে সর্বপ্রথম মূর্তিপুজার আবির্ভাব হয়েছে।হাদিসটির লিঙ্কঃ https://goo.gl/Q0u2U1
কুরআন মাজীদে একটি বস্তুকে ভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হবে এরপর ইসলামী শরিয়তে তা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য থাকবে-এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কী হতে পারে!
এই আয়াতগুলো থেকে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে যে, মূর্তি-ভাস্কর্য এসব জিনিস সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।
হাদিসেও নবী(ﷺ) মূর্তি-ভাস্কর্য সম্পর্কে পরিষ্কার বিধান দান করেছেন।
.
আমর ইবন আবাসা(রা) থেকে বর্ণিত, নবী নবী(ﷺ) বলেন ‘আল্লাহ তাআলা আমাকে প্রেরণ করেছেন আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখার, মূর্তিসমূহ ভেঙে ফেলার, এবং এক আল্লাহর ইবাদত করার্ ও তাঁর সঙ্গে অন্য কোনো কিছুকে শরীক না করার বিধান দিয়ে।
[সহীহ মুসলিম হা. ৮৩২]
.
“আবুল হাইয়াজ আসাদী বলেন, আলী ইবন আবী তালিব(রা) আমাকে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে ওই কাজের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করব না, যে কাজের জন্য নবী(ﷺ) আমাকে প্রেরণ করেছিলেন? তা এই যে, তুমি সকল প্রাণীর মূর্তি বিলুপ্ত করবে এবং সকল সমাধি-সৌধ ভূমিসাৎ করে দিবে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে,… এবং সকল চিত্র মুছে ফেলবে।’
[সহীহ মুসলিম হা. ৯৬৯]
.
আলী ইবন আবী তালিব(রা) বলেন, নবী(ﷺ) একটি জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে মদীনায় যাবে এবং যেখানেই কোনো প্রাণীর মূর্তি পাবে তা ভেঙ্গে ফেলবে, যেখানেই কোনো সমাধি-সৌধ পাবে তা ভূমিসাৎ করে দিবে এবং যেখানেই কোনো চিত্র পাবে তা মুছে দিবে?’ আলী(রা) এই দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হলেন।
এরপর নবী(ﷺ) বলেছেন, ‘যে কেউ পুনরায় উপরোক্ত কোনো কিছু তৈরী করতে প্রবৃত্ত হবে, সে মুহাম্মাদের(ﷺ) প্রতি নাযিলকৃত দ্বীনকে অস্বীকারকারী।’
[মুসনাদ আহমাদ হা. ৬৫৭]
.
সুবহানাল্লাহ, কী স্পষ্ট কথা!
.
এই হাদীসগুলো থেকে স্পষ্ট জানা যাচ্ছে যেঃ প্রাণীর মূর্তি/ভাস্কর্যমাত্রই ইসলামে হারাম এবং তা বিলুপ্ত করে দেয়াই হল ইসলামের বিধান। আর এগুলো স্থাপনের পক্ষে সাফাই গাওয়া ইসলামকে অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য।কেউ এমন কাজ ভুলে করে ফেললে তার উচিত আল্লাহর নিকট তাওবা করা। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
.
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস(রা) বলেন, আমি মুহাম্মাদ(ﷺ)কে বলতে শুনেছি, ‘’যে কেউ দুনিয়াতে কোনো প্রতিকৃতি তৈরি করে কিয়ামত-দিবসে তাকে আদেশ করা হবে সে যেন তাতে প্রাণসঞ্চার করে অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না।’’
[সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬৩]
.
আর সব শেষে শেখ সাদীর মাজারের ব্যাপারে যা বলব—ইসলাম চলে কুরআন আর সুন্নাহ দিয়ে।
শেখ সাদীর মাজার কোন দলিল নয়।
তার দেশ ইরান একটি শিয়া দেশ।শিয়ারা কী করল আর না করল তা কিভাবে ইসলামের দলিল হয়? শিয়ারা একটি বিদআতি ও পথভ্রষ্ট দল।শিয়াদের দেশে একটি মাজারের কাছে অবস্থিত প্রতিকৃতি দ্বারা মূর্তি-ভাস্কর্যকে ইসলামে জায়েজ বলবার চেষ্টা করা ইসলাম সম্পর্কে ভয়াবহ অজ্ঞতারই পরিচায়ক। বাংলাদেশ, সৌদি আরব, তুরস্ক, মিশর, ইরাক এমনকি সারা মুসলিম বিশ্বও যদি কোন হারাম কাজে লিপ্ত হয় তবুও সেটা ইসলামে জায়েজ হয়ে যায় না।
.
আল্লাহ আমাদের বুঝবার তৌফিক দিন।
ইসলামে হালাল-হারামের বিধান জানার জন্য ঔপন্যাসিক কিংবা সেকুলার ফেসবুক সেলিব্রেটির পোস্ট পড়া বর্জনীয়; আমাদের উচিত কুরআন-সুন্নাহ এবং আলিমদের লেখা থেকে এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা।ইসলামে হালাল ও হারাম সাব্যস্ত হয় কুরআন দ্বারা এবং নির্ভরযোগ্য সনদ থেকে প্রাপ্ত হাদিস তথা সুন্নাহ দ্বারা। নির্ভরযোগ্য সনদের রেওয়ায়েতের সমর্থন ব্যতিত কোন দুর্বল বা জাল রেওয়ায়েত থেকে কখনো কিয়াস হয় না।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত ইসলামী বিধান জানার জন্য “ছবি ও মূর্তির ব্যাপারে ইসলামের হুকুম”(আখতারুজ্জামান মুহাম্মাদ সুলাইমান) বইটি পড়া যেতে পারে।ডাউনলোড লিঙ্কঃ
https://islamhouse.com/bn/articles/278880/
.
লেখকঃ মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার [ফেসবুক id: Muhammad Mushfiqur Rahman Minar]

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *