চীনের উইঘুরে মুসলিম নারীদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে নতুন নির্যাতন। রাস্তায় বের হওয়া নারীদের ধরে জোর করে বোরখা বা রোরখা সদৃশ লম্বা পোষাক কেটে দিচ্ছে পুলিশ। খবর বিখ্যাত তুর্কি গণমাধ্যম ‘ইয়ানি শাফাকের’।
মুসলিমরা মূলত জিংজিয়াং বা কাশগর (উইঘুর) এলাকায় হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসছে। তারাই এ এলাকার মূল অধিবাসী। জিংজিয়াং ছিল মুসলমানদের স্বাধীন ভূমি। মুসলিম শাসনে থাকাকালে এ এলাকার নাম ছিল উইঘুরিস্তান বা পূর্ব তুর্কিস্তান। ১৬৬৪ সালে বর্তমান চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঞ্চু শাসকরা কিং সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলে অন্যান্য এলাকার সঙ্গে মুসলমানদের স্বাধীন এ এলাকাও দখল করে নেয়। স্বাধীনচেতা মুসলমানরা অব্যাহত স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে ১৮৬৪ সালে ২ শ বছর পর কিং শাসকদের বিতাড়িত করে কাশগর কেন্দ্রিক আবার স্বাধীনতার পতাকা উড়ায়। স্বাধীনতাকামী এ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আবারো আক্রমন করে চীন। আবারো স্বাধীনতা হারায় উইঘুরিস্তান। ১৮৭৬ সালে চীন আবারো উইঘুর স্রামাজ্য দখল করে এর নাম দেয় জিনজিয়াং। জিনজিয়াং অর্থ নতুন ভূখণ্ড। সেই থেকেই পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয় উইঘুর মুসলিমরা। আরাকানের মুসলমানদের মতো তারাও হাজার বছরের ভিটায় পরবাসী হয়ে যায়। সেখানে রমজান মাসে সেখানে মুসলমানদের রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ও মুসলিম প্রথা অনুযায়ী শিশুদের নাম রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সেখানে মুসলিম নারীদের পোষাক বিশেষ কোমরের নিচে পোষাক ঝুলে থাকলে বা বোরকা সদৃশ হলে তা কেটে নেয়ার নতুন এ নির্যাতন শুরু করেছে পুলিশ।
Leave Your Comments