►►►খৃষ্টান মিশনারীদের তৎপরতা এবং বর্তমান পরিস্থিতি (পর্ব – ২)◄◄◄
►►►খৃষ্টান মিশনারীদের তৎপরতা এবং বর্তমান পরিস্থিতি (পর্ব – ১)◄◄◄
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=611534632542675&id=100010584311857
না ভাই ! এটা মুসলমানের লিখা কোন কিতাব নয়, এগুলো খৃষ্টান ভাইদের লিখা। এখানে তারা কুরআন ও হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে খৃষ্টান বানাচ্ছে। এগুলো ফ্রি বিতরন করছে।
তারা নিজেদের পরিচয় দেয় ঈসায়ী মুসলমান নামে। তাদের কাজের ধরন বিভিন্ন রকম। যেমন :-
1. শিক্ষা : কিন্ডারগার্ডেন, প্রাইমারি স্কুল, কলেজ-ভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করে সিলেবাসে খ্রিস্টবাদ শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে খিৃষ্টবাদে বিশ্বাসী করে তোলা।
2. চিকিৎসা সেবা : দূর্গম, দূর্গত এলাকায় ও শহরের অলিগলিতে, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে নিজেদের সেবকরূপে প্রকাশ করা ও চিকিৎসার মূল্য পরিশোধ করতে না পারলে খ্রিষ্টান হতে বাধ্য করা।
3. বইপত্র, আর্টিক্যাল, ছোট ছোট পুস্তিকা ও প্রচারপত্র বিতরণ করে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধানকে চ্যালেঞ্জ করা ও আলেমদের ব্যাপারে জনগণের মাঝে বিদ্বেষ ছড়ানো।
4. মিডিয়া ব্যবহার : প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে নাস্তিকতা ছড়ানো, কুরআন-হাদীস, ইসলাম ও ইসলামের নবীর অবমাননা করা।
5. ধর্মগ্রন্থ বিতরণ : তাদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থ ইঞ্জিলকে কখনও ইঞ্জিল শরীফ, কখনও বাইবেল, কখনও বিতাবুল মুকাদ্দাস নামে জনগণের মাঝে ব্যাপকভাবে বিতরণ করা।
6. এনজিওর মাধ্যমে :
তাদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধর্মান্তরকারী এনজিও –
১. ওয়াল্ড ভিশন, ২. করিতাস, ৩. এন.সি.সি.(নেনলাইট সেন্টাল কমিটি), ৪. লুথারান মিশন, ৫. আল-হানিফ কল্যান ট্রাষ্ট, ৬. দীপ শিখা, ৭. হিড বাংলাদেশ, ৮. চার্চ অফ বাংলাদেশ, ৯. সুইডিশ ফ্রি মিশন, ১০. অষ্ট্রেলিয়ান ব্যাপটিজ সোসাইটি, ১১. ফেমিলিজ ফর চিলড্রেন ইত্যাদি।
মিশনারীরা বাংলাদেশকে ধর্ম প্রচারের আওতাভুক্ত করার জন্য ১৯৬৮ সালে ১লা সেপ্টেম্বর ঢাকা মহাপ্রদেশের অধীনে ৪টি ধর্ম প্রদেশে বিভক্ত করে নেয়। প্রদেশগুলো হল :
১. চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশ, ২. দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ, ৩. খুলনা ধর্ম প্রদেশ, ৪. ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশ। অতপর ১৯৯৭ সালে ঢাকা ও রাজশাহীকেও ধর্মপ্রদেশের অন্তর্ভূক্ত করে নেয়।
(চলবে)
Ask Sumon
One Comment to 'খৃষ্টান মিশনারীদের তৎপরতা এবং বর্তমান পরিস্থিতি'
Mufti Shamsuddoha
June 10, 2018 at 3:55 pmওদের বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত কাজ করা দরকার।