অক্টোপাসের ডানাগুলো কেটে ফেলতে হবে : এরদোগান

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা তুর্কি নাগরিক ফেতুল্লাহ গুলেনকে অক্টোপাস আখ্যায়িত করে ‘অক্টোপাসের হাত’ ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

এরদোগান বলেছেন, ফেতু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী একটি ‘অক্টোপাস’। গ্রুপটির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের এই অক্টোপাসের ডানাগুলো কেটে ফেলতে হবে। গত দুই বছরে আমরা রাষ্ট্র, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমলাতন্ত্র, বাণিজ্য, গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজের বৃহত্তর স্তরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির সমস্ত কাঠামো ভেঙে দিয়েছি। ওই রাতে যেসব খুনী আমাদের নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করেছিল, তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়া হচ্ছে।’

এরদোগান বলেন, তুরস্কের অভ্যুত্থানের অধ্যায়টি তুর্কি জনগণ চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে এবং সেটি আর কোনো দিনই খোলা হবে না। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময়ে আমাদের বীরদের জন্য আমাদের অন্তরে অপরিমেয় গর্ববোধও করছি। আহত-নিহতদের জন্য গভীর দুঃখ অনুভব করছি। অবৈধ অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে যারা জীবন দিয়েছেন তারা, তাদের পরিবার এবং যারা আহত হয়েছেন তারা সবাই আমার প্রকৃত ভাই। সেই রাতে তুর্কি জনগণের সাহস ও প্রতিরোধ ছিল প্রশংসনীয়। এই বিজয় আমাদের শহীদদের সাহসের ফল, যারা বিদ্রোহীদের ট্যাঙ্ক ও প্লেনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল।’

এরদোগান বলেন, ১৫ জুলাই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা রুখে দেয়া ‘তুর্কি জাতির পুনরুজ্জীবন’ ও ‘গণতন্ত্রের একটি বড় সংগ্রাম’। আমরা কখনোই ১৫ জুলাইয়ের ঘটনা ভুলে যাব না। যারা আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছে এবং যারা ফেতু সন্ত্রাসীদের সহায়তা করেছে তাদের কাউকে ভুলে যাব না।’

২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কের একদল সেনা অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। সে সময় এরদোগান অবকাশযাপনে ছিলেন কিন্তু জনগণ সে অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দেয়। ওই ঘটনায় ২৯০ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।এ ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা গুলেনকে দায়ী করে আসছেন এরদোগান। গুলেনকে ফেরত দেয়ার জন্য এরদোগান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ করেছে। কিন্তু গুলেন সবসময় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র গুলেনকে ফেরত দেয়নি।

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *